ফজরের নামাজ কয় রাকাত । ফজরের নামাজের নিয়ম

ফজরের নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ কত রাকাত, ফজর নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত, Fjarar Namaj Koto Rakat
ফজরের নামাজ কয় রাকাত । ফজরের নামাজের নিয়ম - প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উচিত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি অন্যতম ফরজ ইবাদত। একমাত্র নামাজের মাধ্যমেই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।
এজন্য আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীকে নিয়মিত নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র আল কোরআনে নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে। নামাজকে বেহেশতের চাবি বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বেনামাজী ব্যক্তি কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, নামাজ আদায় একজন মুসলিমের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তাদের মধ্যে এবং আমাদের মধ্যে একমাত্র নামাজই পার্থক্যের বিষয়। যে তা ত্যাগ করে, সে কাফির।”(তিরমিজি, নাসায়ি)
সুতরাং বোঝা যায় , নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই মুমিন ব্যক্তি ও কাফির ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য করা যায়। কারণ একজন কাফির ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না।
ফজরের নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ কত রাকাত, ফজর নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত, Fjarar Namaj Koto Rakat
আরো পড়ুন:
►► ফ্রি টাকা ইনকাম ২০২২
►► জীবন নিয়ে বিখ্যাত উক্তি
►► বাংলা মাসের কত তারিখ আজ
►► হাত কাটা পিকচার ডাউনলোড
►► চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
►► নতুন মোবাইল ফোনের দাম ২০২২
►► শুভ সকালের সুন্দর ছবি ও কবিতা
ফজরের নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ কত রাকাত, ফজর নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত, Fjarar Namaj Koto Rakat
ফজরের নামাজ কয় রাকাত
.jpg)
ফজরের নামাজ দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে গঠিত[৩]। ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করা হয়।
ফজরের নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ কত রাকাত, ফজর নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত, Fjarar Namaj Koto Rakat
ফজরের নামাজের নিয়ম
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়। ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর ফরজ নামাজ পরতে হয়। ফজরের সময় শুরু হওয়া থেকে ইসলামের অন্যতম একটি স্তম্ভ রোজার সময়ও শুরু হয়। এই ফজরের নামাজের নিয়ম হল -
প্রথমে ২ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে নিতে হয়।
এরপর ২ রাকাত ফরয নামাজ আদায় করে নিতে হয়।
ফজরের নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ কত রাকাত, ফজর নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত, Fjarar Namaj Koto Rakat
আরো পড়ুন: এশার নামাজ কত রাকাত
ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম
.jpg)
প্রথমে অযু অবস্থায় জায়নামাজে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী অবস্থায় দুই পায়ের মাঝে ৫ থেকে ৮ ইঞ্চি ফাকা রেখে দাড়াতে হবে। এরপর নামাজের নিয়ত মনে মনে পাঠ করে আল্লাহু আকবর বলে দুই হাত নাভির উপর বাধতে হবে। (পুরুষের ক্ষেত্রে নাভী আর নারীদের ক্ষেত্রে বুকের উপর বাধতে হয়)।
হাত বাধার পর ছানা পরতে হয়। ছানা শেষে বিসমিল্লাহ সহ সুরা ফাতেহা এবং এর পরে যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পরতে হয়। সূরা শেষে আল্লাহু আকবর বলে রুকু সিজদায় যেতে হয়। রুকু তে ৩ থেকে ৭ বার তাসবীহ পাঠ শেষে পুনরায় সামিয়াল্লাহুলিমানহামিদাহ বলে দাড়াতে হয়।
আরো পড়ুন: আমি কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করবো?
ফজরের নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ কত রাকাত, ফজর নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত, Fjarar Namaj Koto Rakat
ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত
.jpg)
ফজরের ২ রাকাত সুন্নত নামাযের নিয়ত -
"নাওয়াইতুয়ান উসালিল্লাহী তায়ালা রাকাতাই সালাতিল ফযরি - সুন্নাতি রাসূলিল্লাহী তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।"
ফজরের ২ রাকাত ফরয নামাযের নিয়ত -
.jpg)
নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
আরো পড়ুন: আসরের নামাজ কত রাকাত
বিশেয় দ্রষ্টব্যঃ ইমামতি করিতে-আনা ইমামুল্লিমান হাজারা ও মাইয়্যাফজুরু সহ মুতাওয়াজ্জিহান বলতে হবে আর ইমামের পিছনে নামাজ পড়িতে হলে বলতে হবে(এক্তাদাইতু বিহা-যাল ইমামি মুতা ওয়াজ্জিহান)।
ছানাঃ
রুকুর তাসবীহঃ
সিজদাহ এর তাসবীহঃ
আরো পড়ুন: টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
ফজরের নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ কত রাকাত, ফজর নামাজ কয় রাকাত, ফজরের নামাজ, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত, Fjarar Namaj Koto Rakat
নামাজের নিয়মঃ
আমরা তো এটা সবাই জানে যে যেকোনো নামাজের শুরুতে সূরা ফাতিহা দিয়ে শুরু করতে হয় এবং এর সাথে যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় ।
তাই যারা নতুন তারা নামাজ শিক্ষা বই পড়ে সূরা গুলো মুখস্থ করে নিবেন । যারা এখনো মুখস্ত করেন ৩-৪ সেটা তো অবশ্যই মুখস্থ থাকার কথা । আপনারা আপাতত সেই ৩-৪ টা সূরা দিয়ে শুরু করবেন ।
আপনার নামাজ হয়ে যাবে কিন্তু এখানে একটি কথা থেকে যায় আপনাকে এরপরেও শিখতে হবে যদি চেষ্টা না করেন তাহলে নামাজ কবুল হবে কিনা সেটা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলতে পারেন । তাই নামাজ শুরু করার সাথে সাথে আপনাকে সূরা মুখস্ত করতে হবে ।
ফজরের নামাজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
.jpg)
নতুন নামাজীকে ফজরের পুরানো নামাজের কাযা পড়তে হবে না: অনেকেই নামাজ পড়া শুরু করে না এই ভয়ে যে সারাজীবনে যা নামাজ miss হয়ে গেছে তার কাযা পড়তে হবে। হাদিস থেকে এরকম কোন বিধান পাওয়া যায় না। আপনি যদি আগে বেনামাজী হয়ে থাকেন আপনাকে আগের নামাজ কাযা পড়তে হবে না,
কিন্তু আল্লাহ্র কাছে আন্তরিকতার সাথে তাওবাহ্ করতে হবে। তবে নিয়মিত নামাজী হওয়ার পর, কোন অপরাগতার কারণে যদি ২/১ বার কখনো নামাজ miss করে ফেলেন তখন সেটার কাযা পড়তে হবে ।
রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন: যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাক’আত (ফরজ বাদে অতিরিক্ত) নামাজ পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরী করা হবে। এই ১২ রাক’আত হলো: যোহর নামাজের আগে ৪, পরে ২ রাক’আত, মাগরিবের নামাজের পরে ২ রাক’আত, ইশা এর নামাজের পরে ২ রাক’আত এবং ফজরের নামাজের আগে ২ রাক’আত। – (তিরমিযী ৩৮০, সহীহ আল জামি’ ৬৩৬২, হাদিসটি সহীহ)
আরবীতে নামাজের নিয়ত পড়ার দরকার নেই: আরবীতের নামাজের নিয়ত পড়ার বা মৌখিক ভাবে নিয়ত উচ্চারণ করার কোন বাধ্য বাধকতা নাই, বরং এটা বিদ’আত (বিদ’আত: ধর্মে নতুন সংযোজন যা রাসূলুল্লাহ(সা) বা তাঁর অনুগত সাহাবাদের দ্বারা প্রমাণিত নয়)। নিয়ত করা একটি অন্তর্গত ব্যাপার। আপনি মনে মনে নিজের ভাষায় নামাজের উদ্দেশ্য পোষণ করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।
নামাজে চার বার হাত তোলা: নামাজে উভয় হাত কানের লতি বা কাঁধ পর্যন্ত তোলাকে রাফ’উল ইয়াদাইন বলে। প্রচলিত ভাবে আমরা শুধু মাত্র ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামাজের শুরুতে হাত বাঁধার সময় কাঁধ পর্যন্ত দুই হাত তুলি। এটা ঠিক আছে, কিন্তু ইমাম বুখারীর সহীহ হাদিস অনুসারে রাসূলুল্লাহ(সা) আরও তিন সময় হাত তুলতেনঃ
i) সামি’আল্লা হুলিমান হামিদাহ্ বলে রুকু’তে যাওয়ার সময়
ii) রাব্বানা লাকাল হামদ্ বলে রুকু থেকে উঠার সময়
iii) দ্বিতীয় রাক’আতের আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পরে তৃতীয় রাক’আতের শুরুতে আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাড়ানোর সময়।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত এই হাত তোলা মুস্তাহাব, কেউ না তুললেও তার নামাজ হবে, কিন্তু যে তুলবে সে ইনশা আল্লাহ্ অনেক সাওয়াব পাবে।
সিজদায় দু’আ করা: আমাদের অনেকেরই জানা নাই যে সিজদারত অবস্থায় নিজের ভাষায় দু’আ করা যায়। রাসূলুল্লাহ(সা) বলেছেন যে, বান্দা আল্লাহ্র সবচেয়ে কাছে থাকে সিজদারত অবস্থায়, তাই তিনি সিজদায় থাকাকালে বেশী করে দু’আ করতে বলেছেন (সহীহ্ মুসলিম)।
তাশাহ্হুদের সময় তর্জনী তোলা: নামাজের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ রাক’আতে বসে বসে তাশাহ্হুদ তথা আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় আমরা কেউ ডান হাতের তর্জনী তুলি,
কেউ তুলি না, আবার কেউ শুধু ‘আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার সময় তর্জনী তুলি – এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশীরভাগ মুসলিমই confused থাকে। সঠিক পদ্ধতি হলো যে, এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ(সা) এর সুন্নাত দুইরকমঃ
i) সমস্ত তাশাহহুদের সময় ডান হাতের মুঠি প্রায় বন্ধ করে তর্জনী কিবলার দিকে করে স্থির রাখা
ii) সমস্ত তাশাহহুদের সময় ডান হাতের মুঠি প্রায় বন্ধ করে তর্জনী কিবলার দিকে করে স্থির না রেখে অল্প একটু উপরে নিচে করে নাড়তে থাকা।
উল্লেখ্য যে, তর্জনী নাড়ানোর এই পদ্ধতিটিও মুস্তাহাব। অর্থাৎ, কেউ একেবারেই তর্জনী না উঠালে গুনাহগার হবে না, কিন্তু কেউ এটা করলে সাওয়াব পাবে ইনশা আল্লাহ্।
মুনাজাত নামাজের অংশ নয়: মুনাজাতকে নামাজের অংশ মনে করা এবং নামাজ শেষে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা বিদ’আত এবং স্পষ্ট ভ্রষ্টতা[১০]। নামাজ শেষে মুনাজাত না করে বরং সহীহ্ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নিচের আমলটি করুন:
i) ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ্ (আল্লাহ্ মহাপবিত্র) পড়ুন
ii) ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র) পড়ুন
iii) ৩৩ বার আল্লাহু আকবার (আল্লাহ্ সবচাইতে বড়) পড়ুন,
iv) ১ বার পড়ুন – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদির (আল্লাহ্ ছাড়া কোনো মা’বুদ নাই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নাই। সকল বাদশাহী এবং সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সবকিছুর উপর ক্ষমতাশালী ।)
ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া: নামাজের যে সব রাক’আতে ইমাম মনে মনে সূরা ফাতিহা পড়েন, যেমন, যোহর ও ‘আসরের নামাজে এবং মাগরিবের নামাজের তৃতীয় রাক’আতে, মুক্তাদি তথা ইমামের পিছনে যিনি নামাজ পড়ছেন তাকেও অবশ্যই মনে মনে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে, নাহলে তার নামাজ হবে না [৫]।
কিন্তু, যে সব রাক’আতে ইমাম সশব্দে সূরা ফাতিহা পাঠ করেন সেই সব রাক’আতে নিজে সূরা ফাতিহা না পড়ে মনোযোগ দিয়ে ইমামের কিরাআত শুনলেও চলবে।
ইমামের পিছনে সশব্দে ‘আ-মিন’ বলা: ইমামের সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে জাহরী নামাজে (যেমন: মাগরিব, ‘ইশা ও ফজর) মুক্তাদিকে ইমামের সাথে সশব্দে টেনে ‘আ-মীন’ বলতে হবে। সিররি নামাজে (যেমন: যোহর এবং ‘আসর) ইমাম ও মুক্তাদিকে মনে মনে টেনে ‘আ-মীন’ বলতে হবে।
আশা করি, এই লেখাটি যারা পড়ছেন তাঁরা সবাই এবং আমি নিজে নামাজের প্রতি এখন থেকে আরও মনোযোগী হবো। আমরা যে-যেভাবেই এতদিন নামাজ পড়ে থাকি না কেন, আমাদের সবারই উচিত হবে নিজেকে সংশোধন করে নিয়ে সহীহ্ হাদিসের ভিত্তিতে নামাজ আদায় করার পদ্ধতি শিখে নেয়া।
আরো পড়ুন:
►► জীবনে ব্যর্থতার কারণ
►► কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়
►► অনলাইন আয়ের সাইট 2022
► অনলাইনে গল্প লিখে টাকা আয়
► কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয়
► সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে করনীয়?
► মোবাইল ফোনের দাম 2022
►► অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
► বিবেকানন্দের শিক্ষামূলক বাণী
► সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস শাখা